‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’- মনীষীদের এই প্রবাদটি আরও সত্য হয়ে বারবার ফিরে আসে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে। মিসরের ‘সোনার শহরের’ সন্ধান সেই প্রবাদটির কথাই আবারও মনে করিয়ে দিলো।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মিসরের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর লক্সরে ৩ হাজার বছর আগের একটি ‘সোনার শহরের’ খোঁজ পেয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বালক সম্রাট তুতেনখামেনের সমাধির পর এটিই দেশটিতে হতে চলেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক মিশনের বিবৃতিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কথিত আছে যে, সম্রাট তৃতীয় আমেনহোতেপ আতেন নামের হারানো শহরটি গড়ে তুলেছিলেন। মিসরের অষ্টাদশ রাজবংশের নবম রাজা ছিলেন তৃতীয় আমেনহোতেপ। খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৫৩ থেকে ১৩৯১ সময়কাল পর্যন্ত তিনি মিসর শাসন করেন।
তার শাসনামলের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক ও শৈল্পিক বসতি ছিল এই স্বর্ণ শহর। লুক্সরের পশ্চিমতীরে এটির অবস্থান।
জনস হিপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের মিসরীয় বিদ্যার অধ্যাপক বেটসি ব্রিয়ান জানিয়েছেন, নিখোঁজ এই সোনার শহরটির অনুসন্ধানে তুতেনখামেনের সমাধির পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এটি প্রাচীন মিসরের জীবনযাপন সম্পর্কে বিরল সব ধারণা দিতে সক্ষম হবে।
‘সোনার শহর’র এই খোঁজ পাওয়াকে অসাধারণ আবিষ্কার আখ্যা দিয়েছেন মিসর বিদ্যার গবেষকরা।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বর্ষের শিক্ষার্থী পাওলো কার্টাগেনা বলেন, এ আবিষ্কার থেকে আমরা জানতে পারবো, প্রাচীন মিসরের জীবন ও সংস্কৃতি কেমন ছিল। যা সত্যিই দুর্দান্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ।