মুসলমানদের বাৎসরিক সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত হজে প্রতিবছর বিশ্বের লাখো মানুষ অংশ নিয়ে থাকে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর মাত্র কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তেমনি এবারও বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণ করবেন হাজীরা। তবে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সেসব দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তার ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মক্কায় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাবিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ্ সোলায়মান মাশহাতের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠকের সময় সৌদি উপমন্ত্রী একথা বলেন।
দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত আসন্ন হজের প্রস্তুতির বিষয়ে হজ উপমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি অবহিত করেন যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির হ্রাস/বৃদ্ধি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ায় ভ্যাকসিন গ্রহণসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে বহির্বিশ্ব থেকে হজ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সৌদি সরকারে সিদ্ধান্ত জানানো সম্ভব হবে বলে সৌদি উপমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক ও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত পাটোয়ারী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরও ঘনিষ্ট ও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
‘২০২০ সালের হজে বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার হজযাত্রীর কোটা প্রদান এবং ২০১৯ সালে মক্কা রোড সার্ভিসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সম্পন্ন হওয়ায় হজ উপমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।’
হজ ও ওমরা পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক হজযাত্রী সৌদি আরবে আগমন করে থাকেন বলে সৌদি উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ্ সোলায়মান মাশহাতকে জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।