এফডিসিতে যাওয়া হলো না ওয়াসিমের এফডিসিতে যাওয়া হলো না ওয়াসিমের – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

এফডিসিতে যাওয়া হলো না ওয়াসিমের

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৯১ পাঠক

ফোক ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশন ঘরানার সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী ড্যাশিং হিরো ওয়াসিম। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে ১৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেন। যার প্রায় সবগুলোই ব্যবসাসফল। স্ত্রী-কন্যার অকাল মৃত্যু কারণে ২০০৬ সালে অভিনয় থেকে দূরে চলে যান। এরপর খুব একটা এফডিসিতে আসতেন না।এমনকী এফডিসির কোনো অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা যেত না।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর এফডিসিতে গিয়েছিলেন ওয়াসিম। সেদিন আড্ডায় মেতেছিলেন এই বরেণ্য অভিনেতা। তার আড্ডার সঙ্গী হয়েছিলেন নায়ক সোহেল রানা, ফারুক, আলমগীর, জাবেদসহ সোনালি যুগের বেশ কয়েকজন অভিনেতা। ব্রেকিংনিউজকে এমনটাই জানান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘‘ওয়াসিম ভাই এফডিসিতে খুব একটা আসতেন না। তার সঙ্গে মোবাইলে আমার কথা হতো। খোঁজ-খবর নিতাম। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ওয়াসিম ভাইকে খুব করে ধরলাম-নির্বাচনের দিন আসতে হবে। তিনি আমাদের কথা না রেখে পারেননি। সেদিন এফডিসিতে এসেছিলেন। অনেকক্ষণ ছিলেন। সোনালি যুগের কিংবদন্তিরা একসঙ্গে দীর্ঘ সময় ছিলেন। ওটাই ছিল ওয়াসিম ভাইয়ের এফডিসি থেকে শেষ বিদায়। আর আসা হলো না এফডিসিতে।’’

চলচ্চিত্রের গুণীজনদের এফডিসিতে একত্রিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন জায়েদ খান। ওয়াসিম আসার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন। তা স্মরণ করে জায়েদ খান বলেন, ‘‘মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওয়াসিম ভাইকে আমন্ত্রণ করতাম। কিন্তু ভাই আসতেন না। ইচ্ছা ছিল করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব গুণী শিল্পীদের একসঙ্গে এফডিসিতে নিয়ে আসবো। ওয়াসিম ভাইকে এ কথা বলেও ছিলাম। ভাই রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু আর এফডিসিতে আসা হলো না ওয়াসিম ভাইয়ের।’’

ওয়াসিমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে জায়েদ খান বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে ওয়াসিম ভাইয়ের খোঁজ নিতে গিয়ে শুনি তিনি অসুস্থ। করোনার কারণে দেখতে যেতে পারিনি। কিন্তু খোঁজ-খবর নিয়েছি। কাল রাত সারে ১২টার দিকে খবর আসে ওয়াসিম ভাই নেই। খবরটা শুনে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’’

শনিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মারা যান ওয়াসিম। করোনা মহামারির কারণে শেষ বিদায় জানাতে এফডিসিতে তার মরদেহ নেওয়া হয়নি। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর বনানীতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

বেশ কিছুদিন ধরে বাসায় শয্যাশয়ী ছিলেন ওয়াসিম। ব্রেন, নার্ভ ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা।

১৯৭২ সালে ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে ওয়াসিমের অভিষেক হয়। নায়ক হিসেবে তার যাত্রা শুরু মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ সিনেমার মাধ্যমে। দিন যতই যেতে থাকে ওয়াসিমের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়। বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমার অপরিহার্য নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।

ওয়াসিম-অঞ্জনা জুটি বেঁধে ভাই নূরী, প্রেমের সমাধী, ঈমানদার, দিদার, ডাকু ও দরবেশ, জুলুমের বদলা, সংঘাত, যাদুপুরী, নান্টুঘটক, হীরামন, আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ, বিষ কন্যার প্রেম, রাখে আল্লাহ মারে কে, খঞ্জর, নাগমাতাসহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ও শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন একটি বহু-বছর মেয়াদী লিজিং সম্প্রসারণ চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, দেশজুড়ে ডিজিটাল সংযোগের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান দুটির কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা হবে। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি এই অংশীদারিত্ব ইডটকোর দেশব্যাপী সংযোগ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উভয় পক্ষ এই অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ চুক্তি সই করে। অনুষ্ঠানে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উন্নত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর স্থাপন নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে এবং দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল চাহিদা পূরণে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সংযোগ নিশ্চিত করার প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্ভাবনী ও উন্নত অবকাঠামো সমাধানের মাধ্যমে এই চাহিদাগুলো পূরণে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ইডটকোর সঙ্গে আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা একত্রে কাজ করছি। একই সঙ্গে, আমরা ডিজিটালভাবে সক্ষম একটি জাতি গঠনে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক একমত প্রকাশ করে বলেন, ইডটকোতে আমাদের লক্ষ্য হলো, নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত সংযোগ সেবা প্রদান করে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা। গ্রামীণফোনের সঙ্গে করা নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম করবে। গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের দক্ষতাকে মিলিয়ে, আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। এই সম্প্রসারিত চুক্তি ইডটকোর কার্যক্রম পরিচালনার মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশের ক্রমবর্ধমান সংযোগ চাহিদা পূরণে টেকসই সমাধান প্রদানের সক্ষমতার উদাহরণ। গ্রামীণফোন ও ইডটকোর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেলিকম খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরে। উন্নত নেটওয়ার্ক সংযোগ দেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণ এবং লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক হবে। সবাইকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে আরও সংযুক্ত এবং একটি প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বাংলাদেশ গড়তে উভয় প্রতিষ্ঠানই অঙ্গীকারবদ্ধ।

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD