করোনা সংক্রমণ রোধে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখা নিরাপদ কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের মাঝে। তারাও নিঃসঙ্কোচে বলতে পারছেন না ছয় ফুট দূরত্বই করোনা বিস্তাররোধে নিরাপদ দূরত্ব।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক মার্টিন জেড বাজান্ট এবং জন ডাব্লিউ এম বুশ নামের দুই বিজ্ঞানী।
তাদের মতে, করোনা ভাইরাস ক্রমাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এখন এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে এটাকে নিয়ন্ত্রন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে।
তারা বলেন, এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে, হাঁচি, কাশি বা মুখ থেকে নির্গত থুথু বা কোন জলকণার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। তবে এর প্রেক্ষিতে যে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে তা সবক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। এতে বিপদও পুরোপুরি কাটছে না।
মূলত, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, অফিস, রেস্টুরেন্টে মানুষ কতখানি নিরাপদ বা তাদের আক্রান্ত হতে কত সময় লাগতে পারে, এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তারা একটি গবেষণা চালান। সংগৃহীত তথ্য উপাত্তের উপর চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা দেখেছেন, কোন দোকানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রবেশ করলে অন্যদের আক্রান্ত হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট, রেস্তোরাঁয় সেটা এক ঘন্টা আর স্কুল বা অফিসের ক্ষেত্রে সেটি কয়েক ঘন্টা সময় নিতে পারে। আর ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখাও সেখানে পুরোপুরি কার্যকর হয় না।