রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাধ পুননির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, বাঁধ নির্মাণে বালু খোয়া সঠিক নিয়মে দেয়া হচ্ছে না সেই সাথে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে তীর সংরক্ষণ বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীনের আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ীর সারাংপুর এলাকায় ৫২ মিটার পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ পুননির্মাণের জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছর থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজে বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া পুরাতন ইট-পাথরসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বাঁধের পাড়ের মাটি কেটে সমান করা হচ্ছে না। উঁচু নিচু রেখেই পাড়ের উপর ব্লক বসানো হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, এসব অনিয়মের অভিযোগ দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন তারা। এলাকাবাসী বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজ দেখার জন্য একজন উপসহকারী প্রকৌশলী দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও তিনি মাঝে মধ্যে আসেন। আর এই লকডাউনের সময়ে তিনি আসেননি। এই সুযোগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ব্লকসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে আসছে।
সারাংপুর এলাকায় বাঁধ নির্মাণ কাজটি পেয়েছে কুড়িগ্রামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেলাল কনস্ট্রাকশন। অভিযোগের বিষয়ে কোন কথা বলতে চায়নি প্রতিষ্ঠানটির লোকজন। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রক্ষিতে বুধবার (২১ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলম বাঁধের নির্মাণ পরিদর্শন করে সিডিউল মোতাবেক কাজের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, নির্মাণ সমতল করে, বালু ও পরে জিও ব্যাগ দেওয়ার ইটের খোয়া দিয়ে ব্লক বসাতে হবে। কাজে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।