রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় রাসায়নিক গোডাউনে আগুন লেগে ইডেন ছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় ভবনের মালিকসহ ৭ থেকে ৮ জনের নামোল্লেখ করে বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন ফকির।
তিনি বলেন, ভবনের মালিক মোস্তাক আহমেদসহ ৭ থেকে ৮ জনের নামোল্লেখ করে আরও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। অবহেলা জনিত মৃত্যু ও অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্য রাখার দায়ে হাজী মুসা ম্যানসনের মালিক মোস্তাক আহমেদ এবং সেখানে থাকা কেমিক্যাল গোডাউন ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নামোল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।
পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করার বিষয়ে শাহিন ফকির বলেন, আমরা অপেক্ষা করছিলাম নিহতের স্বজন কেউ থানায় মামলা করতে আসেন কিনা। তারা কেউ আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ১৮ মিনিটে বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় আরমানিয়ান স্ট্রিটের হাজী মুসা ম্যানসনের ৬ তলা ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট পরে আরও ৯টি ইউনিটসহ মোট ১৯টি ইউনিট টানা ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে কেয়ারটেকারসহ ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া আহত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২১ জন।