করোনায় টালমাটাল ভারত। দেশটিতে শনাক্ত করোনার ধরন নিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিকেও আবার আক্রান্ত করতে সক্ষম ভাইরাসের এই ডাবল মিউটেশান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতোমধ্যেই ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তিনটি আলাদা ধরন একীভূত হয়ে সৃষ্টি হওয়া ভাইরাসের এই নতুন ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতাও প্রায় তিনগুণ বেশি। যার কারণে ভাইরাসের নতুন ধরনে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতিও হচ্ছে খুব দ্রুত।
ভারতের এই ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যেন দেশে না ঢুকে, সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিএসএমএমইউ সি ব্লকের ১০ম তলায় ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শারফুদ্দিন বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আগের তুলনায় করোনায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি।তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের তুলনায় আরও বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। এজন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।