চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।
আগামীকাল সোমবার রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে বলে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।
গত ১৮ এপ্রিল শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। এছাড়া নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয় নোটিশে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হন। বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর আহত বেশ কয়েকজনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)।
সংঘর্ষে আবদুল কাদের, ইয়াসির আহমেদ ও আসাদুজ্জামান নামে পুলিশের তিন কনস্টেবল আহত হন।