করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে বারবার নির্দেশনা দিচ্ছে সরকার। তারপরও মাস্ক পরার বিষয়ে অনেকের মধ্যে শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাইরে চলাফেরায় মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি নিরাপদ থাকার প্রয়োজনে প্রত্যেককে দুটি মাস্ক ব্যবহারেরও পরামর্শ দিচ্ছে সরকার।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকার বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, অনেকেই এ নির্দেশনা অমান্য করছেন।
দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩০৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এই বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সোমবার বলেন, করোনার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শে বিধিনিষেধ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে, তাতে এখনকার মতো গণপরিবহন বন্ধই থাকবে। তবে দোকানপাট ও শপিং মলগুলো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এর মধ্যে অবশ্য গত রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিং মল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।