মহামারি করোনা ভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় উপরের সারিতে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখনও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। মৃত্যুর সারিও হচ্ছে দীর্ঘতর।
বিশ্বে বর্তমানে আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৮৭ জন আক্রান্ত ও ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরইমধ্যে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাশিয়ার আবিষ্কৃত ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকা আমদানিতে তাদের আগ্রহ নেই।
ব্রাজিলের কয়েকটি রাজ্যের সরকার ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকা আমদানির জন্য আবেদন করলে তা নাকচ করে দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিয়ে তাদের কাছে কোনও কারিগরি উপাত্ত না থাকায় এ টিকা আমদানিতে তাদের সায় নেই বলে জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার টিকা আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের ফেডারেল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘অ্যানভিসা’।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্থনিও বারা তোরেস বলেছেন, ‘সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও গুণগত মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনোভাবেই ব্রাজিলের লাখো মানুষের জন্য ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকার অনুমোদন দিতে পারি না।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে ২৯ হাজার ৬৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এইসময়ে ১ হাজার ২৭৯ জন মারা গেছেন। মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরে ও আক্রান্তের দিক থেকে ভারতের পরে ব্রাজিলের অবস্থান।
ব্রাজিল করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত দুটি টিকা প্রয়োগ করছে। এর একটি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, অন্যটি চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের ‘করোনাভ্যাক’।
এদিকে ব্রাজিল সায় না দিলেও বাংলাদেশ সরকার ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জাম বিষয়ক কমিটি এ টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মে মাসেই রাশিয়ার টিকার ৪০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে আসছে।