ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে চেলসি।
মঙ্গলবার রাতে আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমি-ফাইনালের ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোলে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন করিম বেনজেমা। শেষটা করতে হয় একই সমীকরণে।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলাটায় বিঘ্ন ঘটলেও শুরুর থেকে আক্রমণাত্মক ছিলো চেলসি। ম্যাচে তারা গোলের উদ্দেশে মোট ১১টি শট নেয়, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে রিয়ালের ৯ শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে।
প্রতিপক্ষের সাদামাটা ফুটবলের বিপরীতে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে শুরুটা দারুণ করে চেলসি। প্রথম ১৫ মিনিটে একচেটিয়া আক্রমণের মাঝেই গোল আদায় করে নেয় পোর্তোকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা দলটি।
মাঝমাঠ থেকে জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারের উঁচু করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেন পুলিসিক। এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নেন যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডার, বল গোললাইনে রাফায়েল ভারানের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। ২২ মিনিটের মাথায় রিয়ালকে সমতায় ফেরানোর খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু ফরাসি এ স্ট্রাইকারের শট বারে লেগে চলে যায় বাইরে।
তবে রিয়ালের ত্রাতা হয়ে আসেন বেনজেমাই। ২৯ মিনিটে এডার মিলিতাওয়ের হেড থেকে বল পেয়ে মাথা দিয়ে দারুণভাবে বল নিজের আয়ত্তে এনে দুর্দান্ত এক ভলিতে রিয়ালকে সমতায় ফেরান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য প্রথমার্ধের মতো স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। বিরতির পরে শুরুতে মার্সেলোর ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও ভেরনার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এরপরেও মাঝে মধ্যেই তাদের ভুল পাসে নিয়ন্ত্রণ হারানো ছিল দৃষ্টিকটু। শেষ ১৫ মিনিটে বৃষ্টির তেজ বাড়ে, কমে ফুটবলের গতি। প্রতিপক্ষের সীমানায় ভীতি ছড়াতেও পারেনি কেউ।
এই ড্রয়ের মধ্য দিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ইউরোপিয়ান কোনো ম্যাচে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল চেলসি। চারটি ম্যাচ খেলে দুটি জয় ও দুটি ড্র লন্ডনের দলটির।
প্রথম লেগ ১-১ এর সমতায় শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় লেগে জিততেই হবে রিয়ালকে। অন্যদিকে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করতে পারলেই ফাইনালে চলে যাবে চেলসি। আগামী বুধবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দুই দলের মধ্যকার সেকেন্ড লেগ অনুষ্ঠিত হবে।