করোনার ভারতীয় ধরন ১৭ দেশে শনাক্ত করোনার ভারতীয় ধরন ১৭ দেশে শনাক্ত – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

করোনার ভারতীয় ধরন ১৭ দেশে শনাক্ত

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ২১১ পাঠক

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। করোনার এ ধরনকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তিত হয়ে নিজের নতুন নতুন ধরন তৈরি করে। ভারতে গত অক্টোবরে প্রথম ‘বি.১.১৬৭’ ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বলে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। এ ধরনেরও একাধিক সংস্করণ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল জানায়, ভারতে প্রথম শনাক্ত ‘বি.১.১৬৭’ নামের করোনার ধরনটি বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশে পাওয়া গেছে। এমন দেশের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭। জিনোম সিকোয়েন্সিং ডেটাবেইস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টির বেশি করোনার ‘বি.১.১৬৭’ ধরনের সিকোয়েন্স আপলোড করা হয়েছে।

অধিকাংশ সিকোয়েন্সই ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকে আপলোড করা হয়েছে। অপর দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও কম্বোডিয়া।

ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। ভারতে প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের গতি অনেক বেশি। ভারতে করোনার সংক্রমণের গতি বৃদ্ধির জন্য নতুন ধরনটি দায়ী হতে পারে। ভারতে করোনার নতুন ধরনটির বৈশিষ্ট্য, সংক্রমণ ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে গবেষণার ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এগুলো হলো গণজমায়েত, অতি সংক্রামক করোনা ধরন ও টিকাদানের নিম্ন হার।

এদিকে, করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। প্রতিদিনই দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ছে। মোট মৃত্যু দুই লাখ ছাড়ানোর পরদিনই নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ল দেশটি। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন রেকর্ড তিন হাজার ৬৪৭ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার লাখ মানুষ।

করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৬৪৭ জন। ভারতে করোনার ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৮৩ লাখ ৬৮৮ হাজার ৯৬৭ জন এবং মারা গেছেন দুই লাখ চার হাজার ৮১২ জন। আক্রান্তের দিক থেকে দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। মাত্র এক সপ্তাহে ২০ লাখ নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সারিবদ্ধ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সই বলে দিচ্ছে ভারতের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা। কবরস্থান ও শ্মশানে সাদা গাড়ির বহর। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার আছেই। সেই সঙ্গে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

ভারতীয়রা বলছেন, আমরা কেনো ভয় পাবো না বলতে পারেন। কি হচ্ছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। অক্সিজেন নেই, হাসপাতালে বেড নেই, অ্যাম্বুলেন্সেই রোগী মারা যাচ্ছ। শ্মশানে চিতা জ্বালানোর মতো কাঠও নেই।

গেল কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বুধবারও (২৮ এপ্রিল) করোনায় ভারতে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় চার লাখ। এরমধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই একদিনে মারা গেছে রেকর্ড এক হাজার মানুষ। আর তাই রাজ্যটিতে নতুন করে লকডাউনের মেয়াদ ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ভারতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার ৯৯ শতাংশ এবং মারা যাওয়ার হার এক শতাংশ। সে দেশে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে আট হাজার ৯৪৪ জন এবং বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় যতসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, তা আগে কখনো হয়নি। তা ছাড়া ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তে ও মৃত্যুতে একটি বিশ্ব রেকর্ডও হয়েছে। বিশ্বের কোনো দেশে এখন পর্যন্ত এক দিনে এত রোগী আগে কখনো শনাক্ত হয়নি।

করোনাবিষয়ক তথ্য হালনাগাদকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ভারতে আট দিন ধরে তিন লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তার আগে ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটিতে প্রতিদিন দুই লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। আর নয় দিন ধরে ভারতে দুই হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন।

ভারতে কয়েক দিন ধরেই করোনা রোগী শনাক্তে বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে। বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ডটি গত বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে এক দিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত। ভারতের পর রয়েছে ব্রাজিল। সংক্রমণের দিক দিয়ে সম্প্রতি ব্রাজিলকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে ভারত। আর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পর চলতি মৃত্যুর সংখ্যায় বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে থাকা ওই তিনটি দেশের সংকট বর্তমানে ভারতে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতির মতো নয়।

ভারতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও হরিয়ানার পরিস্থিতিও অবনতিশীল। করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির মুখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাত্রিকালীন কারফিউসহ বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় দেশটি তার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার সংকটসহ নানা সমস্যায় দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম।

দেশটির হাসপাতালগুলোয় রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানের অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। হাসপাতালগুলো অক্সিজেন চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠাচ্ছে।

ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্রুত অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানিও বলেছে, তারা ভারতকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে আরম্ভ হয়। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন পিক বা চূড়ায় উপনীত হয়নি। এ কারণে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কবে নাগাদ নিম্নমুখী হতে পারে, সে সম্পর্কে দেশটির বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে আরম্ভ হয়। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন পিক বা চূড়ায় উপনীত হয়নি। এ কারণে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কবে নাগাদ নিম্নমুখী হতে পারে, সে সম্পর্কে দেশটির বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় দেশটি তার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার সংকটসহ নানা সমস্যায় দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

ভারতের করোনা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা জরুরি চিকিৎসাসহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বিদেশি সহায়তা ভারতে পৌঁছানোও শুরু হয়েছে।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD