দুই লঙ্কান অপেনার অধিনায়ক দিমুখ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহেরই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। এখনও সেই সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায়নি। তবে পাল্লেকেতে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্টের প্রথম দিন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের রাজস্ব চললেও দ্বিতীয় দিনের সকালটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের ছক কষেই মাঠে নেমেছিল রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিন্তু করুনারত্নে ও থিরিমানের ২০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি যেন পাল্টা আঘাত হয়ে এলো। শেষ বিকেলে অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম ১১৮ রান করা করুনারত্নেকে থামাতে না পারলে উইকেটহীন একটা দিনই দেখতে হতো মুমিনুল-মুশফিকদের। সতীর্থকে হারালেও দিন শেষে থিরিমানেও টেস্ট ক্যারিয়ারের আরও একটা সেঞ্চুরি তুলে নেন।
দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাসকিন-জায়েদদের গতি-বাউন্সের সামনে সাবধানী ছিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান থিরিমানে ও ওসাডা ফার্নান্দো। যদিও এদিন থিরিমান্নেকে খুব বেশি এগোতে দেননি তাসকিন। ১৪০ রান করে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এ অপেনার।
দলীয় ৩১৩ রানে থিরিমানের পর ৩১৯ রানে অ্যাঞ্জেলে ম্যাথুসকে (৫) লিটনের ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তাসকিন। প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাকানো ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে এদিন দাঁড়াতেই দেননি তাইজুল ইসলাম। দলীয় ৩২৮ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফিরেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের শেষ মুহূর্তে মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দুর্দান্তভাবেই ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সেই রেশটা ধরে রাখতে পারলেও স্বাগতিকদের ব্যাটিং কঙ্কালটা বের করে আনা হয়তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান। ওসাডা ৬৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। সঙ্গে আছেন পাথুন নিশাঙ্কা।