রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ। রবিবার (২ মে) আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
গুলশানের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হওয়া মুনিয়া ও শারুনের কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গুলশান থানায় ওইদিন রাতেই মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। আগামী ৩০ মে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।
শারুন সাংবাদিকদের জানান, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিলো। গত বছর হোয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটি। তখন শারুন তাকে জানান- মুনিয়া যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, সেই একই ব্যক্তির সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল।
মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয়ের ব্যাপারে গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে একটি সূত্র তার কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে বলে জানান শারুন চৌধুরি। এ বিষয়ে শারুন গণমাধ্যমকে ওই সূত্রের ব্যাপারে কিছু না বললেও এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তার কাছে ২৭ এপ্রিল, মঙ্গলবার বিকেলে একটি সূত্র মুনিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে জানতে চেয়েছে, তিনি মোসারাতকে চেনেন কি না? শারুন জানিয়েছেন, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর সে ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
তবে ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা দাবি করে শারুন বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।