করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সেই ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশেও। তবে দেশে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ মোকাবিলায় সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চালু রাখা হয় উৎপাদনমুখী পোশাক খাত। এমনকি শতভাগ শ্রমিক দিয়েই চালানো হচ্ছে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো।
কিন্তু ঈদের ৭ দিন সামনে রেখে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কাজ করা পোশাক শ্রমিকরা এখনও মার্চ মাসের বেতনই পায়নি। বকেয়া আছে এপ্রিলের বেতনও। শ্রমিকদের মার্চ-এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া রেখেছে, এমন পোশাক কারখানার সংখ্যা অন্তত ৫০০টি। ফলে করোনাকালীন দিনরাত কাজ করেও ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাবেন কিনা, তাই নিয়ে এখন শঙ্কায় শ্রমিকরা।
অন্যদিকে ৪০-৫০ শতাংশ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঈদ বোনাস পেয়ে গেছেন। আবার অনেকে শুধু বেতন পেয়েছেন। মাত্র ৫ শতাংশ কারখানার শ্রমিকরা বেতন-বোনাস দুই-ই পেয়েছেন।
শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মে’র মধ্যে সদস্যভুক্ত সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের চেষ্টা চলছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের আগেই সব কারখানাশ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করা হবে। এখন পর্যন্ত ৯ শতাধিক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া হয়েছে।