ঈদের আগে আটককৃত ছাত্রদের জামিনের দাবিতে বিশিষ্টজনদের চিঠি ঈদের আগে আটককৃত ছাত্রদের জামিনের দাবিতে বিশিষ্টজনদের চিঠি – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

ঈদের আগে আটককৃত ছাত্রদের জামিনের দাবিতে বিশিষ্টজনদের চিঠি

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | রবিবার, ৯ মে, ২০২১
  • ২৪৬ পাঠক

ছাত্র অধিকার পরিষদের আটককৃত ছাত্রদের ঈদের আগে জামিনে মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের অর্ধশতর বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার রয়েছে।

শনিবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির কাছে দেওয়া চিঠি তুলে ধরা হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সাংবিধান প্রনেতা ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন খান, আ. স. ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বদিউল আলম মজুমদার, নারী নেত্রী শিরিন হক, লেখক নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ‌অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, ‌অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জোনায়েদ সাকি।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেন, অনুষ্ঠিত সঞ্চালন ও চিঠি পাঠ করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারি জোনায়েদ সাকি। উপস্থিত ছিলেন লেখন নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির কাছে দেয়া চিঠি তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পেনাল কোডসহ বিভিন্ন আইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজকল্যান সম্পাদক আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অর্ধ শতাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদাললত তাদের পুলিশ রিমান্ডে প্রেরণ করেছে।

গ্রেফতারের পর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলার কথা বলেছে তা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের পুরোনো এবং মামলাগুলো রাজনৈতিক হয়রানির জন্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সামনের ঈদ সর্বোপরি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাদের সন্তানতুল্য এই ছাত্ররা অবিলম্বে জমিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকারী বলে আমরা মনে করি। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে নিন্ম আদালতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত জটিলতা কারণে তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতির কাছে বিশিষ্টজনদের দাবি: 

১. গত দুই মাসে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারকৃত সকল ছাত্রদের আগামী রোজার ঈদের আগে জামিন প্রাপ্তির জন্য আপনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

২. এরমধ্যে রিমান্ডে এবং করোনকালীন সময়ে তাদের প্রতি কোনো নিপীড়ন হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

৩. ডিজিটাল বাংলাদেশ আইনে যার বিরুদ্ধে কটুক্তি বা মানহানি করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করতে পারবে না এ ধরনের নির্দেশনা প্রদান করুন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ছাত্রদের জামিন দেয়া উচিৎ। জামিন একটা অধিকারের ব্যাপার। বিশেষ করে ছাত্র সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে এসেছে। তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জনমত গঠন করে, আন্দোলন করে। সেইগুলোকে আমরা সব সময় উৎসাহিত করেছি এবং এখনো সেটা হওয়ার কথা। অতীতে নিন্ম আদালত সাহসী ভুমিকা রেখেছে, অনেক সময় তারা জামিন দিয়েছে। উচ্চ আদালত পর্যন্ত আসতে হয়নি। জামিন সবারই অধিকার, জামিন পাওয়ার অধিকার সবারই আছে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জামিন আমাদের মানবিক ও আইনগত অধিকার। আমাদের বিচারকগণ বিবেকবান নন। তারা অত্যাধিকভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত, পুলিশ নিয়ন্ত্রিত। আমরা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিচারে দীর্ঘ প্রক্রিয়া সবচেয়ে বড় অত্যাচার। আজ এক মাস হয়ে গেছে এখনো মামলা উঠে না।

একই ধরনের মামলা ৫টা দিয়ে রেখেছে। ৫ টার জন্য জামিন নিতে হয়। এ জায়গায় প্রধান বিচারপতির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। কয়দিন পরে ঈদ। ঈদের পূর্বে প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক শক্তির বলে এসব ছাত্রদের জামিনের ব্যবস্থা করতে বলেছি।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ও শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন একটি বহু-বছর মেয়াদী লিজিং সম্প্রসারণ চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, দেশজুড়ে ডিজিটাল সংযোগের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান দুটির কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা হবে। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি এই অংশীদারিত্ব ইডটকোর দেশব্যাপী সংযোগ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উভয় পক্ষ এই অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ চুক্তি সই করে। অনুষ্ঠানে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উন্নত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর স্থাপন নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে এবং দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল চাহিদা পূরণে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সংযোগ নিশ্চিত করার প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্ভাবনী ও উন্নত অবকাঠামো সমাধানের মাধ্যমে এই চাহিদাগুলো পূরণে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ইডটকোর সঙ্গে আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা একত্রে কাজ করছি। একই সঙ্গে, আমরা ডিজিটালভাবে সক্ষম একটি জাতি গঠনে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক একমত প্রকাশ করে বলেন, ইডটকোতে আমাদের লক্ষ্য হলো, নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত সংযোগ সেবা প্রদান করে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা। গ্রামীণফোনের সঙ্গে করা নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম করবে। গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের দক্ষতাকে মিলিয়ে, আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। এই সম্প্রসারিত চুক্তি ইডটকোর কার্যক্রম পরিচালনার মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশের ক্রমবর্ধমান সংযোগ চাহিদা পূরণে টেকসই সমাধান প্রদানের সক্ষমতার উদাহরণ। গ্রামীণফোন ও ইডটকোর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেলিকম খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরে। উন্নত নেটওয়ার্ক সংযোগ দেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণ এবং লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক হবে। সবাইকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে আরও সংযুক্ত এবং একটি প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বাংলাদেশ গড়তে উভয় প্রতিষ্ঠানই অঙ্গীকারবদ্ধ।

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD