ঢাকা ০১:৫৫ এএম, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘চাকরির পেছনে না ছুটে মৎস্য উদ্যোক্তা হোন’

সবুজবাংলা টিঠি ডটকম-
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৬ এএম, রবিবার, ২৩ মে ২০২১ ৩২৫ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। সবক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ। তার জন্মশতবার্ষিকীতে এ প্রতিজ্ঞাই করবো, এই দেশকে সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করবো।

শনিবার ( ২২ মে)  ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ৯৮ সালেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করি। খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টিটা যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দেয়, জলাধারগুলো সংরক্ষণ করা। মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার ব্যবস্থা নেওয়া। গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। কৃত্রিম প্রজনন বৃদ্ধি করা। খাদ্য তালিকায় সবথেকে নিরাপদ পুষ্টি মাছই দেয়। একটা মানুষ ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে তার জন্য যথেষ্ট। এখন মানুষ ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারে। সুযোগটা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাপক কর্মসংস্থান হচ্ছে।

যুব সমাজকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজ পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে, নিজেরাই যদি মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে বিক্রি করে পয়সা পেতে পারে। সেজন্য সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার দিকে। মাছ ও মৎস্যজাত যেকোনো কিছু প্রক্রিয়াজাত করতে পারে সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। আমরা খাল-বিল ও জলাধারকে সংস্কার করার কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থাও নিচ্ছি। আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল এখন প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করে যাচ্ছি। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এক নম্বর। ইলিশ উৎপাদনে যথেষ্ট পদেক্ষপ নিয়েছি। মাছের প্রজনন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে থাকি। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকি। তারা যাতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থাও করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার পরে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়াতে এখন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে না। খাদ্য তালিকায় ভাতের পাশাপাশি মাছ, সবজি ও ফলমূল রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।

মৎস্যজীবী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মৎস্য উৎপাদনে আমাদের যুব সমাজ যাতে মনোযোগী হয়, সেই দিকে একটু দৃষ্টি দেওয়া। এই খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগানো। এর জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস যাতে করো কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরি সভাপতি সাইফুল আলম মানিক সহ কেন্দ্রীয় এবং মহানগর উত্তর-দক্ষিনের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ৮ টায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি- ৩২ নম্বরে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তারা। দুপুর ১ টায় কেক কাটার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেন মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘চাকরির পেছনে না ছুটে মৎস্য উদ্যোক্তা হোন’

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৬ এএম, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। সবক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ। তার জন্মশতবার্ষিকীতে এ প্রতিজ্ঞাই করবো, এই দেশকে সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করবো।

শনিবার ( ২২ মে)  ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ৯৮ সালেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করি। খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টিটা যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দেয়, জলাধারগুলো সংরক্ষণ করা। মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার ব্যবস্থা নেওয়া। গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। কৃত্রিম প্রজনন বৃদ্ধি করা। খাদ্য তালিকায় সবথেকে নিরাপদ পুষ্টি মাছই দেয়। একটা মানুষ ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে তার জন্য যথেষ্ট। এখন মানুষ ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারে। সুযোগটা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাপক কর্মসংস্থান হচ্ছে।

যুব সমাজকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজ পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে, নিজেরাই যদি মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে বিক্রি করে পয়সা পেতে পারে। সেজন্য সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার দিকে। মাছ ও মৎস্যজাত যেকোনো কিছু প্রক্রিয়াজাত করতে পারে সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। আমরা খাল-বিল ও জলাধারকে সংস্কার করার কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থাও নিচ্ছি। আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল এখন প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করে যাচ্ছি। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এক নম্বর। ইলিশ উৎপাদনে যথেষ্ট পদেক্ষপ নিয়েছি। মাছের প্রজনন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে থাকি। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকি। তারা যাতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থাও করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার পরে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়াতে এখন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে না। খাদ্য তালিকায় ভাতের পাশাপাশি মাছ, সবজি ও ফলমূল রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।

মৎস্যজীবী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মৎস্য উৎপাদনে আমাদের যুব সমাজ যাতে মনোযোগী হয়, সেই দিকে একটু দৃষ্টি দেওয়া। এই খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগানো। এর জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস যাতে করো কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরি সভাপতি সাইফুল আলম মানিক সহ কেন্দ্রীয় এবং মহানগর উত্তর-দক্ষিনের নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ৮ টায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি- ৩২ নম্বরে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তারা। দুপুর ১ টায় কেক কাটার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেন মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা।