ঢাকা ০৪:২১ এএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ০১:৩৫:৪৯ পিএম, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১ ৩৭১ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ১৪ মাস পার করছে বাংলাদেশ। এ সময়ে সরকার যেমন অফিস-আদালত বন্ধ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে তেমনি আবার সেই ছুটি বাতিলও হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে মানুষের চলাচলে মুভমেন্ট পাস নিতে হয়েছে। আবার পাস ছাড়াই মানুষদের অবাধে চলাচল করতেও দেখা গেছে। দীর্ঘ এ সময়ে রেস্তোরা বন্ধ হয়েছে, আবার খোলাও হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করে সেটিও ছাড়া হয়েছে।

সর্বশেষ কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই সোমবার চালু হয়েছে দূরপাল্লার বাস। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিধিনিষেধের মধ্যে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও মন্ত্রীর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে দুই মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার উপযোগী করে আমরা তৈরি করছি। যাতে সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেই আমরা খুলে দিতে পারি।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘স্কুল খোলার জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে কবে স্কুল খুলবে সেই সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।’

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, করোনা পরিস্থিতির দোহায় দিয়ে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় একটি প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় এ অপূরণীয় ক্ষতি কীভাবে পোষানো হবে তা নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

এর মধ্যেই সোমবার দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে মানববন্ধন করেছে। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ১২টি ছাত্র সংগঠন। দাবি না মানলে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয় সংগঠনগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খুলে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

প্রকাশকাল ০১:৩৫:৪৯ পিএম, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ১৪ মাস পার করছে বাংলাদেশ। এ সময়ে সরকার যেমন অফিস-আদালত বন্ধ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে তেমনি আবার সেই ছুটি বাতিলও হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে মানুষের চলাচলে মুভমেন্ট পাস নিতে হয়েছে। আবার পাস ছাড়াই মানুষদের অবাধে চলাচল করতেও দেখা গেছে। দীর্ঘ এ সময়ে রেস্তোরা বন্ধ হয়েছে, আবার খোলাও হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করে সেটিও ছাড়া হয়েছে।

সর্বশেষ কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই সোমবার চালু হয়েছে দূরপাল্লার বাস। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিধিনিষেধের মধ্যে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও মন্ত্রীর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে দুই মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার উপযোগী করে আমরা তৈরি করছি। যাতে সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেই আমরা খুলে দিতে পারি।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘স্কুল খোলার জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে কবে স্কুল খুলবে সেই সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।’

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, করোনা পরিস্থিতির দোহায় দিয়ে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় একটি প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় এ অপূরণীয় ক্ষতি কীভাবে পোষানো হবে তা নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

এর মধ্যেই সোমবার দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে মানববন্ধন করেছে। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ১২টি ছাত্র সংগঠন। দাবি না মানলে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয় সংগঠনগুলো।