ঢাকা ০৩:০৩ এএম, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরিষার বীজের বদলে এলো পপি

সবুজবাংলা টিভি ডটকম-
  • প্রকাশকাল ১২:৩৮:৪৮ পিএম, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১ ২৮৭ পাঠক
সবুজবাংলা টিভি এর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষা বীজ ঘোষণায় মালয়েশিয়া থেকে এসেছে নিষিদ্ধ পপি বীজের চালান। সাধারণত আফিম তৈরির জন্য দেশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে অবৈধ ভাবে পপি ফুলের চাষ করা হয়।

সোমবার (৩১ মে) রাতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে। মঙ্গলবার (১ জুন) বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া থেকে ৫৪ টন সরিষা বীজ আমদানির কাগজপত্র দাখিল করে ঢাকার আমদানিকারক আজমিন ট্রেড সেন্টার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চালানটি আটক করে পণ্যের নমুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে পাঠায় কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। রাসায়নিক পরীক্ষায় মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি প্রমাণ হওয়ায় চালানটি আটক করা হয়।

আমদানি নথি সূত্রে জানা যায়, ৫৪ টন সরিষা বীজের মূল্য বাবদ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও আটককৃত পপি বীজের মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ এ পণ্যটি আনতে অবৈধ পথে বাকি ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে। এ চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, আমদানিকারক কৌশলে সরিষা বীজের আড়ালে মাদকদ্রব্য খালাসের চেষ্টা করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দেড় লাখ টাকার শুল্কও পরিশোধ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি আটক করে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন পপি বীজ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে এসব বীজ আমদানি করেছে। সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সরিষার বীজের বদলে এলো পপি

প্রকাশকাল ১২:৩৮:৪৮ পিএম, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষা বীজ ঘোষণায় মালয়েশিয়া থেকে এসেছে নিষিদ্ধ পপি বীজের চালান। সাধারণত আফিম তৈরির জন্য দেশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে অবৈধ ভাবে পপি ফুলের চাষ করা হয়।

সোমবার (৩১ মে) রাতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে। মঙ্গলবার (১ জুন) বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া থেকে ৫৪ টন সরিষা বীজ আমদানির কাগজপত্র দাখিল করে ঢাকার আমদানিকারক আজমিন ট্রেড সেন্টার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চালানটি আটক করে পণ্যের নমুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে পাঠায় কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। রাসায়নিক পরীক্ষায় মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি প্রমাণ হওয়ায় চালানটি আটক করা হয়।

আমদানি নথি সূত্রে জানা যায়, ৫৪ টন সরিষা বীজের মূল্য বাবদ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও আটককৃত পপি বীজের মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ এ পণ্যটি আনতে অবৈধ পথে বাকি ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে। এ চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, আমদানিকারক কৌশলে সরিষা বীজের আড়ালে মাদকদ্রব্য খালাসের চেষ্টা করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দেড় লাখ টাকার শুল্কও পরিশোধ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি আটক করে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন পপি বীজ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে এসব বীজ আমদানি করেছে। সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।