রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
সোমবার (৩১ মে) বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে সেগুনবাগিচা, মৎস ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভপূর্ব এক সমাবেশে নেতারা এ দাবি জানায়।
সমাবেশে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, খালেদা জিয়া আর জনগণের ভাগ্য একসূত্রে গাঁথা। খালেদা জিয়া ভালো থাকলে দেশের জনগণও ভালো থাকে। সরকার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সাজা দিচ্ছে। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ও অসুস্থ ৭৬ বছরের বয়স্ক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক টিম বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য সুপারিশ করলেও সরকার ক্ষমতার জোরে তাঁকে বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে। যা অনৈতিক ও মানবতাপরিপন্থি।
তিনি বলেন, সুচিকিৎসার অভাবে বেগম জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার আলেম ওলামা-সহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানান।
ডা: ইরান বলেন, চাল ডাল তেল-সহ দ্রব্যমূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধির কারণে জনগণ দিশেহারা। দুর্নীতি লুটপাট ও দুঃশাসনের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। অসাধু কালোবাজারি সিন্ডিকেট চক্র সরকারদলীয় হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। শ্রেণিবৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে ৪ কোটি মানুষ বেকার, কর্মহীন ও দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করছে।
তিনি বলেন, সরকারদলীয়রা মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচার করার কারনে অর্থনীতি জড়াগ্রস্ত হওয়ায় দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকারের ব্যর্থতার খেসারত গুনছে জনগন। তিনি আসন্ন বাজেটে করোনায় বেকার কর্মহীন, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের খাদ্য, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে বিশেষ বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, উপদেষ্ঠা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় সদস্য খোরশেদ আলম, যুবমিশন আহবায়ক ইমরুল কায়েস, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন প্রমুখ।