আগামী সোমবার থেকে সরকার সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হুমড়ি খেয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।
এতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় শতশত মানুষের ফেরি পার হতে দেখা গেছে। প্রতিটি ফেরিতে রয়েছে মানুষের ভিড়।
রাস্তায় আগে থেকেই দূরপাল্লার বাস ও স্থানীয় বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় বসচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ। নানা দুর্ভোগ নিয়ে ছোট ছোট যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে ফিরছেন মানুষ।
এসময় কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাট এলাকায় ছোট ছোট যানবাহন ও যাত্রীদের এমন চাপ লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এবার লকডাউনে ফেরি সংখ্যা বেশি চলাচল করায় যাত্রীদের কিছুটা কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা রাস্তায় যানবাহন বদল করতে করতে অতিরিক্ত কয়েকগুণ অর্থ খরচ করে ঘাট এলাকায় এসেছেন। এতে তাদের ভোগান্তির মাত্রা ছাড়িয়েছে কয়েকগুণ। পথে পথে প্রশাসনের বাধা। এতে হেঁটেও আসতে হয়েছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা। তবে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের জন্যে ভোগান্তিটা সবচেয়ে বেশি। কারণ অতিরিক্ত টাকা খরচ করে আসতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে আজ ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি বেশি থাকায় নদী পারাপারে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি লাঘব হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি এজিএম ফিরোজ শেখ পরিবর্তনকে জানান, সরকারি কঠোর লকডউনের ঘোষণায় কিছু মানুষ আজ বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছে। এ কারণে ফেরিগুলোতে ভিড় রয়েছে।
তবে যানবাহন পারাপারে বিধিনিষেধ না থাকায় ফেরি পার করতে তাদের কোনো বাধা নেই বলেও তিনি জানান।