নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িছে ১৩৫ জনে।
জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২৮ জন। মোট শনাক্ত বেড়েছে ১০ হাজার ৮১৩ জনে। নতুন আক্রান্তের হার শতকরা ২৮ দশমিক ৯৬ ভাগ।
এদিকে নোয়াখালীতে চলমান লকডাউনে চতুর্থ দফার আজ প্রথম দিন। লকডাউনে নোয়াখালী পৌরসভা, সদরের ৬টি ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করা হয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা, একলাশপুর ও মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন।
শনিবার সকালে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
তিনি জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিনটি পিসিআর ল্যাবে ৪৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে সদরে ৫৪, সুবর্ণচরে ৩, হাতিয়া ২, বেগমগঞ্জে ১৯, সোনাইমুড়ীতে ৮, চাটখিলে ২, সেনবাগে ৪, কোম্পানীগঞ্জে ২৩ ও কবিরহাট উপজেলার ১৩ জন রোগী রয়েছে।
জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪১০ জন, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থ্যতার হার শতকরা ৬৮ দশমিক ৫৩ ভাগ। আইসোলেশনে রয়েছেন ৩২৬৮ জন ও শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬১ জন রোগী।
এদিকে নোয়াখালী পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন কার্যক্রর করতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট।
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী লকডাউনকৃত এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।