‘স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একগুঁয়েমি এবং অবাধ চলাচল পরিস্থিতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। তাই এ অবস্থায় ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। সামান্য অবহেলায় জীবন হতে পারে বিপন্ন।’
আসন্ন কঠোর লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন।
শনিবার সকালে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নেতাদের হঠকারিতায় বিএনপির রাজনীতি এখন ‘গভীর খাদের প্রান্তে অবস্থান করছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির বর্তমান যেমনি হতাশাগ্রস্ত তেমনি ভবিষ্যৎও কুয়াশাচ্ছন্ন। সংকটের অক্টোপাস বিএনপিকে জেঁকে ধরেছে।’
বিএনপিকে বাংলাদেশের ‘ব্র্যান্ডেড অত্যাচারী ও জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী রাজনৈতিক দল’ হিসেবে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
দেশে এখন চরম দুঃসময় চলছে-বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশ নয়, চরম দুঃসময় চলছে এখন বিএনপির রাজনীতিতে। শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, নির্বাচনবিমুখতা এবং অগণতান্ত্রিক চর্চা বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করছে দিন দিন। তাদের নেতাকর্মীদের হতাশ করেছে।’
বিএনপির ‘দীর্ঘায়িত এবং নেতিবাচক ও অপরাজনীতি’ও তাদের জনবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
সরকার জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তাদের অভিযোগের ফানুস ওড়ানো নিত্যদিনের রুটিন। বিএনপি তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে আবোলতাবোল বকছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করলে বিএনপির পেটের ভাত হজম হয় না।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতায় সরকার সোমবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের সবাইকে স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশকে ফাঁকি দেওয়া যায় কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা আমাদের জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে।’