মগবাজারের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও ঢামেকে আট জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে বার্ন পাঁচ ও ঢামেকে তিন জন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চার জনের অবস্থা আশংকাজনক।
তারা হচ্ছেন, মোঃ নুর নবী (৩০), ইমরান হোসেন (২৫), মোঃ রাসেল (২১)। তারা বার্ন এর আইসিইউতে রয়েছেন। বাকি আরেকজন আছেন ঢামেকে’র ক্যাজুয়ালটি বিভাগে শিক্ষক এসএম কামাল হোসেন (৬২)।
চিকিৎসাধীন বাকি চার জন হচ্ছেন, বার্ন আবু কালাম কালু(৩৩), জাফর আহামেদ (৬১), ঢামেকে হৃদয় (২৮),সুভাষ সাহা (৬২)।
ঢামেকে’র আবাসিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমাদের এখানে চারজন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে দু’জন নিউরোসার্জারী বিভাগে, অর্থপেডিক সার্জারী বিভাগে একজন ও একজন ক্যাজুয়ালটি বিভাগে। তিনি বলেন আমরা দু’জন কে অপারেশন করা হয়েছে। বাকিদের কেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান,বেশীর ভাগ রোগীর গ্লাসের কাটা সহ হেড ইনজুরি রয়েছে। তিনি আরও বলেন,শামীম নামে আরেক রোগীকে নিউরো সার্জারীতে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। পরে জানতে পেরেছি সোমবার দুপুরের দিকে তার ভর্তির ফাইল রেখে চলে গেছেন।
অপরদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন আমাদের এখানে পাঁচ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।তার মধ্যে তিনজনই আইসিইউতে। তাদের ৯০ শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছে।তাদের তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক। বাকি দু’জন আছেন জেনারেল ওয়ার্ডে তাদের দগ্ধের পরিমান তেমন নেই,তবে মাল্টিপল ইনজুরি রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যে পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন এদের মধ্যে তিনজন অবস্থা গুরুতর। দুইজন আইসিইউ, একজন এইচডিইউ ও দুইজন জেনারেল ওর্য়াডে ভর্তি হয়েছেন। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন এসব তথ্য।
ভর্তি কৃতরা হচ্ছেন-মোঃ নুর নবী (৩০) তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পেশায় ভ্যান চালক। সে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাজপুর গ্রামের ইসলাম মণ্ডলের ছেলে। বর্তমানে এ্যালিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনাল এলাকার একটি মেসে থাকেন।
গুরুতর আহত ইমরান হোসেন (২৫) তিনি বেঙ্গল মিটে চাকরি করেন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লাউ কাঠি গ্রামের আব্দুল মজিব ভুঁইয়ার ছেলে।
গুরুতর মোঃ রাসেল (২১) তিনি বেঙ্গল মিটে চাকরি করেন।
তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনি এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বরুয়াল গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন এর ছেলে তিনি। রাসেল মগবাজার এলাকার একটি মেছে থাকেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে বড়। সে ঠাকুরগাঁও কলেজে অনার্সে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ছয় মাস যাবত চাকরি করেন।
আহত আবু কালাম কালু (৩৩) তিনি গ্লোরী পরিবহনের বাস কনট্রাকটর। তার শরীরের দগ্ধ সহ মাল্টিপল ইনজুরী হয়েছে। তিনি জেনারেল ওর্য়াডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেরপুর সদর উপজেলার মাছপাড়া বাজারের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
বর্তমানে গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা’য় থাকেন।
আহত জাফর আহামেদ (৬০) পেশায় ব্যাবসায়ী।তার শরীরের দগ্ধ সহ মাল্টিপল ইনজুরি হয়েছে। তিনি জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম। তার বাবা মৃত মফজল আহামেদ। বর্তমানে দক্ষিণ কমলাপুর।
এদিকে ঢামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন জানান, আমাদের এখানে চার জন ভর্তি রয়েছে।
তারা হচ্ছেন-
এসএম কামাল হোসেন (৪২) তিনি পেশায় শিক্ষক। ময়মনসিংহ গফরগাঁও উপজেলার আক্কাস আলী ছেলে। বর্তমানে ৬৩৩/৪ উত্তর শাহজাহানপুর।
তিনি চশমা কিনতে সে পথ দিয়ে পায়ে হেটে মৌচাক যাচ্ছিলেন। উপর থেকে গ্লাস ভেঙ্গে তার উপর পড়ে।
আহত মোঃ হৃদয় (২৮) তিনি বরিশালের বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থী। ঝালকাঠি জেলার নলসিটি উপজেলার ভৈরবপাশা রায়পয়সা গ্রামের মৃত ইউনুস আলী মৃধার ছেলে। বর্তমানে নাবিস্কো নাখালপাড়া থাকেন।তিনি সেগুনবাগিচা থেকে আল-মক্কা পরিবহনে করে তেজগাও নাবিস্কো যাচ্ছিলেন।
আহত সুভাষ সাহা ৬২)
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মৃত মনমহন সাহা’র ছেলে। বর্তমানে ইসলামপুরে থাকেন। তিনি বাস যাত্রী ছিলেন। এক ছেলে এক মেয়ের জনক। তার মাথায় আঘাত।
আহত শামীম (৩০ )
ঢামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।