আজ মঙ্গলবার সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনি আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আজ আলোচনার সমাপনি দিনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন।
এছাড়া সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেটে ঘাটতির সমালোচনার জবাবে বলেন, অর্থনৈতিক নীতির প্রেক্ষিত সম্প্রসারণের ফলে এবার ঘাটতি বাজেট দেয়া হয়েছে। এ বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬.১ শতাংশ।
এ প্রেক্ষিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এসব দেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আরো বেশী।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমনে গোটা বিশ্ব বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল কোন দেশই এর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়নি।
মুস্তফা কামাল বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে দেশের অর্থ ব্যবস্থা, কর্মকাণ্ড ও জনগণের জীবন যাত্রা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে এ মহামারির সময়ও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাকিস্তানের তুলনায় দ্বিগুণ এবং ভারতসহ প্রতিবেশী সব দেশের তুলনা বেশী হয়েছে।
করোনা সংকটকালে দেশের জনগণের জীবনমান আরো উন্নত করার লক্ষ্যেই এ বাজেট দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা অনুযায়ীই এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।