এর আগে কখনোই কানাডার কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেনি। খবর বিবিসির
এদিকে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট এলাকার দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভ্যাঙ্কুভারেের পুলিশ বিভাগ এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত আকস্মিকভাবে অন্তত ১৩৪ জনের মৃত্যু তথ্য রয়েছে তাদের কাছে, যাদের বেশিরভাগই বয়স্ক নাগরিক।
ভ্যাঙ্কুভারের বার্নাবি অঞ্চলে দায়িত্বরত রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) করপোরাল মাইক কালানি নাগরিকদের উপদেশ দিয়েছেন, বয়স্ক নাগরিক এবং প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর রাখার জন্য।
তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং পরিচিত বয়স্ক নাগরিকদেরও খোঁজ রাখুন। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য বেশি ক্ষতি করছে, বিশেষ করে যাদের বয়স বেশি এবং যাদের অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
আরসিএমপি তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাঙ্কুভারের বার্নাবি ও সারে শহরতলীর ১৩৪ জনের মৃত্যুর পেছনে অতিরিক্ত তাপমাত্রা অন্যতম কারণ ছিল। মারা যাওয়াদের বেশিরভাগই ছিলেন বয়স্ক এবং অনেকেরই অন্যান্য অসুস্থতা ছিল।
কানাডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ‘এনভায়রনমেন্ট কানাডা’ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও অ্যালবার্টা প্রদেশ এবং সাসকাচুয়ান, নর্থওয়েস্টার্ন টেরিটোরিস এবং ইউকন প্রদেশের কিছু এলাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
এনভায়রনমেন্ট কানাডার সিনিয়র জলবায়ুবিদ ডেভিড ফিলিপস বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শীতপ্রবণ দেশ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বরফ পড়ে, এমন একটি দেশ। এখানে মাঝেমধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বা তুষার ঝড় হয়ে থাকে, কিন্তু এরকম উষ্ণ তাপমাত্রা এখানে প্রায় কখনোই পাওয়া যায় না। দুবাইয়ের তাপমাত্রাও আমাদের কয়েকটি এলাকার চেয়ে কম উষ্ণ।’