মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক স্থানে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত শিশুরা হচ্ছেন, চরকাজী মোখলেছ গ্রামের হোরন মিয়ার ছেলে আফসার হোসেন (৪), কেরামতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আরমান হোসেন (৪) ও জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর এলাকার নাজির উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হোসেন (৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাড়ির অন্য বাচ্চাদের সাথে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলাধুলা করছিলো আফসার। পরে পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্নস্থানে খোজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরের জাল ফেললে আফসারের দেহ জালে উঠে আসে।
এদিকে, দুপুরে কেরামতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে আরমানকে বাড়ীর কোথাও দেখতে না পেয়ে খোজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন। এ সময় বাড়ির পুকুরের পানিতে আরমানকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তারা।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেব জ্যোতি জানিয়েছেন, শিশু দু’টিকে মৃত অবস্থায় তাদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পানিতে থাকা অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুরের মহোদুরী বাসিন্দা নাহিদকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে বাসার পাশের একটি ট্যাংকের সামনে নাহিদের জুতা পড়ে থাকতে দেখে তারা। পরে ট্যাংকের ভিতরে নাহিদকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাহিদকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের অজান্তে দীর্ঘ সময় ধরে ট্যাংকে পড়ে থাকায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।