ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে রমনা থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় পুলিশ মামলা করেছে।
গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ: ডিএমপি কমিশনার
এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ বলছে, বিল্ডিংয়ের ভেতরে কোনো একটা রুম গ্যাস চেম্বার হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটা জেনেছি, এখানে যে সরমা হাউজ ছিল মূলত সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে খুব সম্ভবত গ্যাস জমেছিল এবং এই গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশেপাশের সাতটা বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুইটা বাস বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সাতজন মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।’
রুম গ্যাস চেম্বার হয়েছিল: রমনার ডিসি
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বিল্ডিংটা ভেঙে বহুদূরে চলে গেছে। দরজা-জানালা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে বহু দূরে চলে যায়। আমার ধারণা যে এই বিল্ডিংয়ের ভেতরে কোনো একটা রুম গ্যাস চেম্বার হয়ে গিয়েছিল। সেখানে ফায়ার ওপেন করেছে এবং সাথে সাথেই এই বিস্ফোরণটা হয়েছে। এই গ্যাসটা বহুদূর চলে যায় এবং একটা লাইনে যা পায় সব গুঁড়ো করে দিয়ে যায়। অতীতেও আমি এমন দুই-তিনটা ঘটনা দেখেছি।’
তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি
এদিকে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে এই কমিটি। তখন প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
তিনি বলেন, ‘৭টা ৩৪ মিনিটে আমরা খবর পাই। আমাদের টিম এখানে আসে। এটি একটি তিন তলা বিল্ডিং। এর নিচতলায় ফাস্টফুডের দোকান, দ্বিতীয় তলায় সিঙ্গারের একটি গোডাউন ছিল। বিস্ফোরণে কারণটা কি তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। বিস্ফোরণের কারণ জানতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।’
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো বড় এভিডেন্স পাইনি। ধারণা করছি, গ্যাস বা এ জাতীয় কোনো কিছুর মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আমরা পরীক্ষা করছি। আসলে এখানে কী ঘটেছিল তদন্ত পরে আমরা জানাতে পারব। আমরা সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেব।’