বিধিনিষেধের এই দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এছাড়া বিধিনিষেধে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে এখন থেকে রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বুধবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে। অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দু’টি শাখা খোলা রাখা যাবে।
কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু এবং এটিএম বুথগুলােতে পর্যাপ্ত নােট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে এবং ২ ও ৩ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ প্রতি রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
গ্রাহকদের হিসাবে নগদ-চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট-পে-অর্ডার ইস্যু ও জমাগ্রহণ, ক্সবদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় ভাতা-অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং এ সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস-ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেওয়া এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমুদ্র, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকায় (পাের্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা ও বুথ সার্বক্ষণিক খােলা রাখতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলােচনা করে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের গ্রাহক সেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে উক্ত শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
সব খােলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক সীমিত সংখ্যক লােকবলের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।
ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।