সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়। খবর : বাসস
স্থানীয় জনগণকে অতিমারীর বিস্তার রোধে সহায়তা এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার লক্ষ্যে এই অতিরিক্ত তহবিল ব্যয় হবে। এই উদ্দেশ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে এবং বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ড কাজ করে যাবে।
গতবছরের এপ্রিলে এই অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের পর থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি এবং সম্মুখ সারির সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশ জুড়ে ২০টি প্রকল্পে ১৭ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক (প্রায় ১৬০ কোটি টাকা) অর্থসহায়তা প্রদান করেছে।
এই কার্যক্রমগুলো অতিমারীর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে সময়োচিত প্রতিকার প্রদানে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। সুইস সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্পর্কে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। ১০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এর উন্নত চিকিৎসার জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবা পেয়েছে। ১ লাখ ৩০ হাজার নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। এছাড়াও ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে নগদ অর্থসহায়তা এবং ৬০ হাজার জনকে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হয়। তদুপরি, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের মনস্তাত্ত্বিক এবং আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য চারটি হেল্পলাইন স্থাপন করা হয়।
সবার জন্য আগামী দিনগুলোতে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করাই হবে এই অভূতপূর্ব বৈশ্বিক সঙ্কট থেকে মুক্তির একটি অন্যতম চাবিকাঠি। কোভ্যাক্স উদ্যোগে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল কাউন্সিল গতকাল এই বৈশ্বিক উদ্যোগে চল্লিশ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও অধিক পরিমানে টিকা দ্রুত সরবরাহে সাহায্য করবে।