রাজধানীর চকবাজার থানাধীন ইসলামবাগ মদিনা পেট্রোল পাম্পের অদূরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন।
বুধবার (৩০ জুন) দিনগত রাতে ঘটনাটি ঘটে।
মৃতদের নাম মো. মারুফ (১৭) ও ট্রাক মালিক হিরো (৪০)।
আহতরা হচ্ছেন, সারোয়ার (২০), সোহাগ (৩০)।
গুরুত্বর আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মিডফোর্ড হাসপাতাল নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক রাত বারোটার দিকে মারুফ কে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দু’জন চিকিৎসাধীন।
জাতীয় বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানিয়েছেন মারুফ হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ভর্তি দু’জনের মধ্যে সরোয়ারের অবস্থা আশংকাজনক। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে । সোহাগের ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চকবাজার থানা পরিদর্শক (ওসি) মো. আব্দুল কাইয়ূম জানিয়েছেন, গত রাতে প্রবল বৃষ্টির সময়ে একটি ট্রাক সোয়ারী ঘাটের দিকে যাওয়ার সময়ে মেইন রোডে মদিনা পেট্রোল পাম্পে অদূরে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটে, এতে ট্রাক শ্রমিক পথচারীসহ পাঁচ জন দগ্ধ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাতেই মারুফ নামে একজন মারা যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত আরও একজন মারা গেছেন। তার মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিউটের রাখা হয়েছে। আমরা সেখানে অফিসার পাঠিয়েছি। তিনি আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
মৃতের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মারুফ দোকান কর্মচারী ছিলেন। সে রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরার পথে ঘটনার শিকার হয়েছে। কামরাঙ্গীচড় পূর্ব রসুলপুর আমির হোসেনের ছেলে মারুফ। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।
আহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, আহত ট্রাক মালিক হিরো শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা গেছেন। আহত অবস্থায় প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ছিলেন। সেখান থেকে রাতেই শ্যামলীর একটি হাসপাতালে যান।
স্বজনরা তার মরদেহ তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। তারা আরো বলেন, হিরো তার ট্রাকেই কাজ করতেন।
ঘটনাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এসআই কবির উদ্দিন মণ্ডল জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দু’জন মারা গেছেন। এরা হচ্ছেন, মারুফ ও হিরো। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিনজন।