দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে বেড়েছে ই-লার্নিংয়ের গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তা। এর মাধ্যমে দেশের বাজারে নিজেদের সম্প্রসারিত করার সুযোগ পেয়েছে বিভিন্ন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম।
বেসিক একাডেমিক শিক্ষা প্রদানের পরিবর্তে দেশের অনেক ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এমন সব কোর্স অফার করছে যেগুলোর মাধ্যমে টেকনিক্যাল ও কগনিটিভ স্কিল অর্জন করা যায়। তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান ‘মেথড মেলোডি’। মিউজিকের প্রতি আবেগের জায়গা থেকে করোনা মহামারির মধ্যে অর্ক নেওয়াজ মাহমুদ চালু করেছেন ‘মেথড মেলোডি’ নামের প্ল্যাটফর্ম।
‘মেথড মেলোডি’ মূলত মিউজিক শিক্ষার অনলাইনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের আগস্টে এই প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। জান্নাতুল ফেরদাউস তানিকে সাথে নিয়ে অর্ক নেওয়াজ মাহমুদ চালু করেন ব্যতিক্রমী এই প্লাটফর্মটি। ‘মেথড মেলোডি’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটিতে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের কাছ থেকে যেকোনো মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া যাবে। মিউজিক সম্পর্কে যাদের আগ্রহ আছে তারা পছন্দের মিউজিশিয়ানের কাছ থেকে যেকোনো ইন্সট্রুমেন্ট বাজানো শিখতে পারবেন।
‘মেথড মেলোডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অর্ক নেওয়াজ মাহমুদ এক সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। আমাদের একাডেমিক অনেক কিছু অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে সহজেই। এখন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম সবাই ভালোভাবে গ্রহণ করছে। ধীরে ধীরে ক্ষেত্রটির উন্নতি হচ্ছে এবং আমি নিশ্চিত আগামী দিনগুলোতে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের প্রতি মানুষ আরও বেশি ঝুঁকবে।
বর্তমানে ‘মেথড মেলোডি’র ১৭৪টি লেসন চালু রয়েছে। এসব লেসন পরিচালনা করছেন দেশের ৮ জন খ্যাতনামা শিল্পী। যাদের মধ্যে আছেন- ওয়ারফেজের ইব্রাহিম আহমেদ কামাল, আর্টসেলের জর্জ লিংকন ডি কস্তা, অ্যাভয়েড রাফার রায়েফ আল হাসান রাফা ও ফয়সাল আহমেদ তানিম, অর্থহীনের শিশির আহমেদ ও ফাহিম, ওয়ারফেজের সামির হাফিজ এবং আরবোভাইরাসের নাফিজ আল আমিন।
বর্তমানে মেথড মেলোডি তাদের প্ল্যাটফর্মে ১১টি কোর্স অফার করছে। মিউজিক শিক্ষা সম্পর্কে অর্ক নেওয়াজ মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি তরুণদের মিউজিক শিক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। আমাদের প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের পছন্দের সময়ে মিউজিক শেখার সুযোগ রয়েছে, যেন তাদের একাডেমিক বা অন্যান্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমরা এরই মধ্যে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে আর্টিস্টদের কাছ থেকে। আমরা ক্যামেরায় যেমন দেখি, এখানে তারা একেবারেই ভিন্ন। তাদের সাথে কাজ করে মজা পাচ্ছি।