ঢাকায় আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আগামী দুদিনের মধ্যে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশসংলগ্ন ভারতীয় বিভিন্ন প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।আজ রোববার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুপুরে আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার কোথাও সকাল ৭টায়, কোথাও ৯টার পরে, কোথাও ১০টার পরে বৃষ্টি শুরু হয়।
দেশের আট বিভাগেই আজ বৃষ্টির পাশাপাশি পরবর্তী তিন দিন এ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সকাল নয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে তারা জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী ৩ দিনে সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের তীব্রতা এখন একটু বাড়বে। বর্ষাকাল তো বৃষ্টি হবেই। কিন্তু আগে যেখানে ৫০ শতাংশ এলাকায় বৃষ্টি হতো, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সেটা এখন হয়তো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় হবে। সে জন্য বৃষ্টিপাত বাড়ার কথা বলা হয়েছে।’
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ছয়টি অঞ্চল বাদে সারা দেশেই সামান্য থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে, ৮৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে ৪৮, টেকনাফে ৪০, রাজশাহীতে ৩৯, তেঁতুলিয়ায় ৩০, ডিমলায় ৬৮, রাজারহাটে ২৮ ও মোংলায় ৩৪ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,আজ দুপুরে বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলা নদীগুলোর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলা নদীগুলোর আশপাশের জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুরে আগামী দুদিনের মধ্যে আকস্মিক বন্যা হতে পারে। অন্যান্য জেলায়ও হতে পারে, তবে সেটা আরও পরে।’
এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মার পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় কমতে পারে বলেও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে।