সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন বিল্ডিংয়ের দোতলা ও তিনতলার ড্রয়িং রুম ও বেডরুমের ওয়ারড্রব ও আলমারীর তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মালামাল তছনছ করা হয়েছে। সেখানে কাপড়চোপড়, তৈজসপত্র ব্যবহার্য জিনিসপত্র মেঝেতে ফেলা। টেলিভিশন এবং এসি ছিলো ঘরে তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মালামাল খোয়া যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ময়েজমঞ্জিলের কেয়ারটেকার মো. আফসার খান জানিয়েছেন, রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত তারা ময়েজমঞ্জিলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষে অবস্থান করেন। পরে মূল বাউন্ডারির বাইরের কক্ষে এসে ঘুমিয়ে পরেন। সকালে এসে নতুন ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙ্গা দেখতে পান।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আশেপাশে অনুসন্ধান করে উত্তরের সীমানা দেয়াল সংলগ্ন অজ্ঞাত ব্যক্তির পায়ের ছাপ দেখতে পান। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল ময়েজমঞ্জিল হওয়ায় তারা সঙ্গতকারণেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন। সিসি টিভি ফুটেজ ও অন্যান্য সোর্স ব্যবহার করে বিষয়টির গভীর তদন্ত করে দেখা হবে। এর আগে সোমবার সকালে কোতয়ালী থানার এসআই আনিস এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফরিদপুরে গেলে তারা ওই বাড়িতেই থাকেন। বিষয়টি কি শুধুই চোরের হানা নাকি দুর্বৃত্তদের অন্য কোনো লক্ষ্য ছিলো সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। আশা করি ফরিদপুরের পুলিশ বিভাগ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখবেন। এ ব্যপারে কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হবে।