তিনি বলেছেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ।
আজ মঙ্গলবের ভার্চুয়ালি শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের অধিক সংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার অনুরোধ করেন।
তখন প্রধান বিচারপতি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনি খবর রাখেন? দেশের অবস্থা খুব খারাপ।’
জবাবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘মাই লর্ড সেটা তো জানি। আমি অন্য একটা বিষয়ে বলতে চাই। সেটা হলো লকডাউন ঘোষণার পূর্বে দেয়া হাইকোর্টের আদেশগুলো পাঠানো/কমিউনিকেট করার ব্যবস্থা করা করুন। অন্যটি হলো সুপ্রিম কোর্টের করোনা টেস্টের বুথটি খোলা রেখে আইনজীবীদের টেস্টের সুযোগ করে দিন।’
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি তো বাইরের লোক আসতে দিতে চাই না।’
এ সময় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘করোনা টেস্ট তো হচ্ছে।’
বেঞ্চের আরেক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘বারের মেম্বাররা (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) কি আসেন?’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আচ্ছা আমরা এটা বুঝে বলব, এটা করলে অনেক লোক চলে আসবে। আইনজীবীরা তো অ্যাফেক্টেড হচ্ছে।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে দেখেন আইনজীবীদের জন্য আলাদা একটা বুথের ব্যবস্থা করতে পারেন কি-না?’
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ওখানে পারা যাবে না।’
পরে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের করোনা টেস্ট বুথে আইনজীবীদের আইডি কার্ড দেখে করোনা টেস্টে সম্মতি জানান।
এ সময় আইনজীবীদের করোনা টিকার অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ভূমিকা রাখার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিনকে ধন্যবাদ জানান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে কোর্ট খুলে দেয়ার বিষয়ে কথা শুরু করেছিলাম। কিন্তু প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে কথাই বলতে দিলেন না। তিনি বললেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ। তবে প্রধান বিচারপতি আমাদের অন্য দাবি মেনে নিয়েছেন।’