জাতীয় দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবানদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
যেকোনো মহামারি রোধে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সবার সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজে নয়, পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগত থেকে ছিটকে দিতে পারে।’
প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ, এই পরিপ্রেক্ষিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার নিয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে (উত্তরাঞ্চলে) কয়েকটি নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যেসব এলাকায় পানি প্রবাহ বেড়েছে সেসব এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের সরকারের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও জনমানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
দুর্যোগ এবং সঙ্কটে আওয়ামী লীগই সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায় জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মিডিয়ায় কথামালার ঝড় তোলে তারা জনগণের দুঃখ দুর্দশা থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে।’
বিএনপি নেতাদের মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে করোনার জন্য অর্থসংস্থানের কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছে, এক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোনো ঘাটতি নেই এবং হবেও না।’
বিএনপি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি বলে এখন মেগা প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা তাদের সময়ে উন্নয়নের নামে করেছে লুটপাট।’
দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, আর প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।’