একইসঙ্গে আসামি জসিম রাড়ীর বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা না থাকলে তাকে কারামুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম রাড়ীকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যেহেতু তিনি ২০০৭ সাল থেকে জেলে আছেন তাই তার বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা না থাকলে ১০ বছর এরই মধ্যে পেরিয়ে যাওয়ায় তাকে মুক্তি দিতে বলেছেন আদালত।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জসিম রাড়ী ২০০৭ সালে শাশুড়ির সঙ্গে রাগ করে নিজ সন্তানকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার স্বামী জসিমের বিরুদ্ধে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে আসামি জসিমের মৃত্যুদণ্ড হয়। এর বিরুদ্ধে জসিমের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জসিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে একই বছর জসিম জেল আপিল করেন। এই জেল আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেয়া হয়। এই আসামি ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তার মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।