এছাড়া আজই পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভায় নতুন একদল মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী শপথ নেবেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির নিউজ১৮বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার আগে এই হেভিওয়েটারা মন্ত্রিত্ব ছাড়ায় রীতিমতো স্তম্ভিত কারণ কে থাকবে কে যাবে এই নীতি এবার পুরোটাই কার্যকর হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর তত্ত্বাবধানে। পারফরম্যান্স খুঁটিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমনকি প্রত্যেক মন্ত্রীর থেকে ভবিষ্যতের রুটম্যাপও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলে একটা কথা পরিষ্কার, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা আইটি মন্ত্রীদের কাজে খুশি নন। দেবশ্রী চৌধুরীর পারফরম্যান্সও তাকে তৃপ্ত করতে পারেনি।
আজ ৭ লোককল্যাণ মার্গে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর এবং নিশীথ প্রামাণিক।
সেখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় নিশীথ শান্তনু কোনও বড় দায়িত্ব পেতে পারেন। গুরুদায়িত্বের ক্ষেত্রে অবশ্য প্রথম নামই রয়েছে সর্বানন্দ সোনোয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াদের। লকেট চট্টোপাধ্যায় কোনও দায়িত্ব পান কিনা তাই নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ১৮ থেকে ২২ জন নতুন মন্ত্রী হতে পারেন। অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের নাম বাদ যেতে পারে, সেই আভাস ইতিমধ্যে ফলতেও শুরু করেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন দিল্লীতে বসে থাকলেও মন্ত্রিত্বের ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ সৌমিত্র খাঁ ইতিমধ্যেই দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিয়েছেন।
বলা হচ্ছে মোদী সর্বকনিষ্ঠদের নিয়ে এবার নতুন মন্ত্রিসভা গড়ে তুলতে চলেছেন। নিপীড়িত বঞ্চিত আদিবাসী সমাজ থেকে প্রতিনিধি তুলে আনাই তার এবারের লক্ষ্য। আর সেই কারণেই হয়তো জায়গা পাচ্ছেন নিশীথ প্রামাণিক শান্তনু ঠাকুররা।