জানা গেছে, গাড়িটির নকশা করেছেন ব্রিটিশ ডিজাইনার থমাস হিদারউইক। ২০২৩ সালের মধ্যেই গাড়িটি বাজারে আনা হবে বলেও জানা গেছে। তবে গাড়িটির ব্যাপারে সমালোচনা করতে ছাড়েননি সমালোচকরা। গাড়িটি বায়ুদূষণ রোধে সক্ষম এ কথা তারা কোনোভাবেই মানতে চাচ্ছেন না। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থমাস হিদারউইক আরও কয়েকটি স্থাপত্য প্রকল্পে কাজ করেছেন। বিশেষ করে লন্ডনের নতুন ভার্সনের বাসের ডিজাইন তারই করা। তবে তিনি এই প্রথম গাড়ির ডিজাইন করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বায়ুদূষণ রোধে সক্ষম গাড়িটির ডিজাইনার থমাস বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যখন আমি ডিজাইনার হিসেবে তৈরি হচ্ছি তখন গাড়ির ব্যাপারে মানুষের চিন্তাভাবনা তেমন ছিলো না। তখন মানুষ ফোর্ড সিয়েরা কিংবা ফিয়াট পান্ডা গাড়ি ব্যবহার করতেন। থমাস আরও জানিয়েছেন, আমরা যখন চীনে প্রথমবারের মতো আইএম মটরসের প্রস্তাব দিয়েছি তখন তারা আমাদের বায়ুদূষণ রোধে সক্ষম একটি গাড়ি নির্মাণ করতে বলেছিলো। কিন্তু তখন আমি বলেছিলাম, আমি তো এই ব্যাপারে অদক্ষ। তারা বলেছিলো, সেই কারণে তুমি এমন গাড়ি তৈরি করবে। চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের সাংহাইয়ে এক প্রদর্শনীতে গাড়িটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছে। গাড়িটির ভেতরটি প্রশস্ত। যা একটি ঘরের মতো। সেখানে ‘অ্যাডজাস্টেবল চেয়ার’ রয়েছে। থমাস জানিয়েছেন, আমাকে প্রথমে ইলেক্ট্রিক গাড়ি তৈরি করতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু এটি তৈরি করলে গাড়িটি অন্যরকম দেখাতো। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাড়িটির ভেতরে ঘরের মতো জায়গা রয়েছে। যা এর মালিককে বেশ আরাম দেবে। থমাস বিবিসিকে জানিয়েছেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকেই নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলছে। বাসা ও অফিসে আমরা অনেকেই এটি মেনে চলছি। আমি মনে করছি, করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সহায়তা করবে এই গাড়ি। গাড়ির ক্রেতাকে বেশি খরচ করতে হবে না। এর দাম ৪০ হাজার পাউন্ড।