আক্ষেপ ছিল আর্জেন্টাইন এই তারকার।
অবশেষে সেই দুঃখ ঘুচলো কোপা আমেরিকাতে। ডি মারিয়ার এক গোলে মেসির হাতে আরাধ্যের ট্রফি। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপায় বিজয় কেতন আর্জেন্টিনার।
আগে থেকেই জানা ছিল, চ্যাম্পিয়ন হোক বা না হোক, ব্যক্তিগত সেরা দুটি অর্জন হাতে উঠতে যাচ্ছে লিওনেল মেসিরই। ফাইনালসহ মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছেন।
এর মধ্যে ৫টিতেই ম্যাচ সেরা। গোলও করেছেন সর্বোচ্চ চারটি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫টি। তার নিকটে থাকা লাওতারো মার্টিনেজ ফাইনালে গোল পাননি।
সুতরাং, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বল এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল যে মেসিই পেতে যাচ্ছেন, তা ছিল অনুমেয়। অবশেষে সেটাই হলো। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটো সেরা পুরস্কারই উঠলো মেসির হাতে।
২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল জার্মানির কাছে শেষ সময়ে গোটজের গোলে। সেটাও হয়েছিল ব্রাজিলে। এরপর টানা দুই বছর কোপার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হার। অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ই নিয়েছিলেন তিনি। পরে আবার ফিরেছেনও। অন্তত একটি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে।
২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে যে মাঠে হেরেছিলেন বিশ্বকাপের ফাইনালে, যে মাঠে আছে আর্জেন্টিনার অনেক বেদনার কাব্য সেই ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে জিতলেন দেশের হয়ে প্রথম শিরোপা।