স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাউকে ট্র্যাক করার মতো বিষয় সামনে এলে কিছু আইনি বাঁধা আসার সম্ভাবনা প্রবল। যেকোনো স্মার্টফোনের মধ্যে থাকা সিম কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই সব সময় ট্র্যাক করা সম্ভব। যদিও, সিম কার্ডের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে কারও লোকেশন জানা সম্ভব নয়। তবে জিপিএস ও পাবলিক ওয়ান (ডব্লিউএএন)-এর মাধ্যমে অনেক বেশি নিখুঁতভাবে লোকেশন জানা সম্ভব।
জেলব্রেকিং অথবা রুট ছাড়াই এই ফিচার ব্যবহার করতে দিচ্ছে স্পাইক (Spyic)। এর ফলে আপনার ফোনের ওয়ারেন্টি একদিকে যেমন অটুট থাকছে, আর এক দিকে ফোনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না আপনাকে। একবার রেজিস্ট্রেশনের পরে আপনার স্মার্টফোন এক মিটার অ্যাকিউরেসিতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও দেখে নেওয়া যাবে কললিস্ট।
স্পাইক এর মাধ্যমে শুধুমাত্র লোকেশন ট্র্যাকিং নয়, ফোনের কল লিস্ট, কনট্যাক্ট, মেসেজ, ব্রাউজিং হিস্ট্রি ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ দেখে নেওয়া যাবে। তবে, অন্যের ফোনে এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের ফোনে করতে কোনও সমস্যা নেই। যদিও অ্যানড্রয়েড গ্রাহকরা রুট অ্যাকসেস-সহ এই সার্ভিস ব্যবহার করলে, অনেক বেশি ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। যদিও, রুট অ্যাকসেস এনাবল করলে আপনার ফোনের ওয়ারান্টি অবৈধ হয়ে যাবে।
অ্যানড্রয়েড ফোনে স্পাইক ইনস্টল করার জন্য চাই একটি এপিকে ফাইল। আর ফোনে এপিকে ফাইল ইনস্টল করার জন্য আননোন সোর্সেস এনাবল করতে হবে। তবে, আইওএস গ্রাহকরা আইক্লাউড অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগ ইন করবেন। যদিও, এর সাহায্যে প্ল্যাটফর্মেই কোনও রকম নিশানা না রেখেই, এই অ্যাপ আন ইনস্টল করা যাবে।
বিনামূল্যে এই অ্যাপ ইনস্টল করলেও সার্ভিস ব্যবহারের জন্য সাবস্ক্রিপশনে খরচ করতে হবে। স্পাইকের কোনও বিনামূল্যের সাবস্ক্রিপশন অথবা ফ্রি ট্রায়াল নেই। যদিও, লম্বা ভ্যালিডিটির সাবক্রিপশনে খরচ কম হবে। এছাড়াও মোট তিনটি ধাপের সাবক্রিপশন কেনা যাবে। বেসিক প্ল্যানে মাসে ৪০ মার্কিন ডলার খরচ হবে।
স্পাইক একটি শক্তিশালী টুল যা অ্যানড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস ট্র্যাকিংয়ে কাজে লাগে। রুট অথবা জেলব্রেক ছাড়াই এমন অনেক ফিচার আপনার স্মার্টফোনে এই সার্ভিস নিয়ে আসবে যা অন্যথায় সম্ভব না।