সর্বাত্মক লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের লকডাউনের ঘোষণা এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আগামী ২১ জুন সারা দেশে ঈদুল আযহা পালিত হবে।
এর আগে গত সোমবার রাতে সরকারের তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছিল, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কঠোর বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে।
করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার উল্লম্ফন ঠেকাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দেয়।
তাদের পরামর্শ মোতাবেক গত ২৮ জুন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণার পর সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণায় সারা দেশে জনসাধারণের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
লকডাউন শিথিল করার পর আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে।
গত সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া হবে ট্রেনে। সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাস ও লঞ্চ কিভাবে চলবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায় মালিকপক্ষ।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে সব সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজ ভার্চ্যুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যমে) সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোরবানির পশু অনলাইনে কেনাবেচার অনুরোধ জানিয়েছে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে আগামী ৫ আগস্টের পর কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ সম্পর্কেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা ও মৃতদেহ সৎকারের মতো জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। এসব কারণ ছাড়া বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কঠোর লকডাউনে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলসহ সব ধরণের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
শপিংমল, মার্কেট বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা এসেছে।
কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা যাবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা গেলেও অনলাইন ও টেকওয়ে পদ্ধতিতে খাবার বিক্রি করতে পারবে।