আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি একথা জানান।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। এর সঙ্গে মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। তাই বিভিন্ন প্রতিকূলতা, দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও এগুলোকে পরিহার করা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, গত বছর করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও সরকার থেকে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এবছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকা সত্বেও সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কুরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে। হাটে প্রবেশ পথ এবং বের হওয়ার আলাদা পথ থাকতে হবে। হাটে আসা সকলে যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি ও জীবাণুনাশক সাবান রাখার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
পশু কোরবানির পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।
অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহী করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে অনলাইনের পাশাপাশি পশুর হাটে গিয়েও যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু কেনা-বেচা করা যায় সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।