মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়।
করোনায় মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে ৪ জন বগুড়ার বাকি একজন অন্য জেলার। মৃত্যুরা হলো বগুড়া সদরের হোসনে আরা (৪৫), দুপচাঁচিয়ার আজম খান (৪১), গাবতলীর ফজলুর রহমান (৭০), শাজাহানপুরের জোসনা আরা (৫৮) এবং জয়পুরহাটের মজিদা বিবি (৬৫)।
করোনা উপসর্গে মৃতদের মধ্যে মজিদা বিবি টিএমএসএস হাসপাতালে এবং বাকি ৪ জন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বুধবার সকালে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি জানান।
তিনি বলেন, মরণঘাতী করোনাভাইরাসে জেলায় নতুন করে আরও ১৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা উপসর্গ নিয়ে এই দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
ডা. তুহিন জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও ৫৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯২জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। এদের মধ্যে সদরের ১১৪, শেরপুরের ১৪, গাবতলীতে ১২, শিবগঞ্জে ১১, ধুনটে ৮, শাজাহানপুরে ৮, নন্দীগ্রামে ৬, আদমদীঘিতে ৫, দুপচাঁচিয়ায় ৫, সারিয়াকান্দি ৫, কাহালুতে ৩ এবং সোনাতলায় একজন। এছাড়া একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪২ জন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমন মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ১০১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
একই কলেজের জিন এক্সপার্ট মেশিনে ১৩ নমুনায় ৪জনের এবং এন্টিজেন পরীক্ষায় ২১০জনের মধ্যে ৬৬জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৮ নমুনায় ২১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
ডা. তুহিন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৩৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪৯ জন এবং ৪৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।