রাজধানীর ধানমন্ডিতে আজ মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ‘নাগরিক সংবাদ সম্মেলন’ করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাদের অবহেলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং যারা পরোক্ষভাবে দায়ী, তাদেরই এক যুগ্ম সচিবকে ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এই কমিটি থেকে কী আশা করা যায়?
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি সরকারের ন্যূনতম আস্থা থাকলে রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করত। যারা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, একটা বড় দুর্ঘটনার ঘটার আগে কেউ দেখে না। যখন খবর এসে যায়, তখন এক সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর দোষ চাপায়।
নারায়ণগঞ্জের রূপঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের কতজন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে তার সঠিক হিসাব প্রকাশের দাবি জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিপূরণের যে মানদণ্ড আছে, তা পরিবর্তন হওয়া দরকার। ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হবে কোনো শ্রমিক যদি কর্মক্ষেত্রে মারা যান, তাহলে তার এক জীবনের আয়ের সমান। মৃত্যুকালীন বয়স থেকে স্বাভাবিক নিয়মে অবসরের সময় পর্যন্ত শ্রমিকের সম্ভব্য যে আয়, সেই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। করোনাকালে যাদের প্রাণ চলে গেছে, এটাকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়। এর জন্য সরকার দায়ী।