খুলনার দুইটি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এরমধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৬ জন করোনায় ও একজন উপসর্গে এবং বেসরকারি গাজী মেডিক্যা ল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনায় ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে একজনসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০০ জন। এরমধ্যে রেড জোনে ১৩৬ জন, ইয়ালো জোনে ২৪ জন ও আইসিইউতে ২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন ও সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।
গাজী মেডিক্যাহল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ার মাহামুদা খানম (৫৯), দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়ার সাহিদা বেগম (৫৫), নড়াইলের লোহাগড়ার জোগিয়া গ্রামের শেখ আবুল হোসেন (৮৫) ও যশোর সদরের জাকির হোসেন (৫৭)। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১০৩ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে, বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন । এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন একজন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৬ জন। এরমধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
এদিকে, গতকাল খুমেক ল্যাবে ৬৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় ২০০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরমধ্যে খুলনার ১৪৯ জন, বাগেরহাটের ৩০ জন, যশোরের ১৪ জন, নড়াইলের ২ জন, সাতক্ষীরা, ঢাকা ও বরিশালের একজনের করে করোনা শনাক্ত হয়।