সাতক্ষীরায় ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন মোমেনা খাতুন নামের এক নারী। এসময়ে ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোমেনার জামাতা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের নেসারউদ্দিনের ছেলে আবদুল মাতিনকে।
শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ছনকা তালসারি গ্রামে ফাতেমার বাবা গোলাম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, পায়রাডাঙ্গার আবদুল মাতিনের সাথে ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় ফাতেমা খাতুনের। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। একমাস আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে ফাতেমা বাবার বাড়ি ছনকা তালসারি গ্রামে চলে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে মাতিন তাদের বাড়ি আসে। গভীর রাতে সুযোগ বুঝে সে ফাতেমার নাভির নিচে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ফাতেমাকে বাঁচাতে এলে শাশুড়ি মোমেনাকেও ছুরিকাঘাত করে মাতিন। পরে মোমেনা মারা যান। অপরদিকে ফাতেমাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানিয়েছেন, মোমেনার লাশের ময়নাতদন্ত হবে। এ ঘটনায় মোমেনার জামাতা মাতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।