করোনা আক্রান্ত শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল সারা দেশের ৭৭টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নির্ধারিত শর্তাবলি প্রতিপালন সাপেক্ষে করোনা শনাক্তে এ অনুমোদন দেয়া হলো।
বোরবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত শর্তাবলি প্রতিপালন সাপেক্ষে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ের এ অনুমোদন দেয়া হলো।
টেস্ট করার ক্ষেত্রে শর্তসমূহ :
১. কোভিড-১৯ এর উপসর্গ/ লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, নাকে ঘ্রাণ না পাওয়া, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং বিগত ১০ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
২. এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের (ডিএইচআইএস-২) সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব হতে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। পড়ে ওই রিপোর্ট ডিএইচআইএস-২ এন্ট্রি দিতে হবে।
৩. অনুমোদিত কিটের নামসমূহ : স্ট্যান্ডার্ড কিউ কোভিড-১৯ এজি টেস্ট কিট, এসডি বায়োসেনসর (দক্ষিণ কোরিয়া) ও প্যানবায়ো যুক্তরাষ্ট্র।
৪. পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা। বিশেষ ক্ষেত্রে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকা রাখা যেতে পারে। বাসায় এসে একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০ টাকার অধিক হবে না।
৫. রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা থেকে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফোকাল পার্সন ডা. অনুপমের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেয়া হলো। এসব প্রতিষ্ঠানের একজন ফোকাল পারসন থাকবেন যিনি মেডিকেল অফিসার সমমর্যাদার হবেন।
৬. সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানের (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও) সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেয়া হলো।