আসামিরা হলেন, মো. সগির, মো. সুমন, মো. জাকির, মো. হামিদ আহমেদ ও সোহেল ওরফে আরিফ।
আজ শুক্রবার রিমান্ড শেষে পাঁচ আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১৯ জুলাই) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তাদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (১৮ জুলাই) ধারাবাহিক অভিযানের এক পর্যায়ে ধানমন্ডি থানার আরেকটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, দু’টি আইফোন, বিভিন্ন মডেলের ১০টি ফোন, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলের ভাঙা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নিজ দপ্তর থেকে বেইলি রোডের বাসায় ফেরার পথে বিজয় সরণি ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ির জানালা খুলে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় এক ছিনতাইকারী মন্ত্রীর মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।