আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক নেতা এবং ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে করাগারে থাকাকালীন শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
‘৭১’র মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্ব’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অন্যতম রচয়িতা মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দিন আহমদের ছায়াসঙ্গী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম।
‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি ও লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি ও মুক্তিযোদ্ধ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক আবেদ খান ও শফিকুর রহমান এমপি, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি ও মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা তাজউদ্দিন আহমদের কন্যা লেখক সিমিন হোসেন রিমি এমপি বক্তৃতা করেন।
এ ছাড়াও এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ এই ওয়েবিনারে সংযুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তার (বঙ্গবন্ধুর) অনুপস্থিতিতে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব-প্রদানকারী সরকারের যেভাবে হাল ধরেছিলেন তা অতুলনীয়।
তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৭২ সালে জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের মুক্তিযুদ্ধে চক্রান্তের বিষয়ে তাকে (তাজউদ্দিন) প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিলে, আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীচক্র মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করতো।’